1. jmmasud24@gmail.com : ablogin :
  2. abmnewws5@gmail.com : Akbar Hussain : Akbar Hussain
  3. shahinbangla71@gmail.com : Mohammed Shahin : Mohammed Shahin
  4. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

ইউক্রেনে সংঘাতের জন্য রাশিয়া নয়, দায়ী তৃতীয় শক্তি : পুতিন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৩৩ Views

গত প্রায় ১১ মাস ধরে ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে— সেজন্য রাশিয়া নয়, বরং ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা দায়ী বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনকে এখনও ‘ভাতৃপ্রতিম’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এখন দুই দেশের মধ্যে যা চলছে, তা অবশ্যই একটি ব্যাপক শোকাবহ ব্যাপার এবং এই শোকের অংশীদার রাশিয়া ও ইউক্রেন— উভয়ই।’
‘ইউক্রেনের শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার জন্য আমরা বছরের পর বছর চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন সময়ে তাদের আর্থিক ঋণের জন্য দেশটিকে প্রস্তাব দিয়েছি, কম দামে তাদের কাছে জ্বালানিও বিক্রি করতে চেয়েছি।’
‘কিন্তু আমাদের দোষে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি…. আমরা এজন্য দায়ী নই। রাশিয়ার জনগণ চিরদিনই ইউক্রেনীয়দের ভাইয়ের মতো বিবেচনা করে আসছি এবং ব্যক্তিগত ভাবে এখনও আমি ইউক্রেনকে ভাতৃপ্রতিম জাতি হিসেবেই দেখি।’

‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সেসব উদ্যোগ কোনো কাজে আসে নি, কারণ ইউক্রেনের ক্ষমতাবান গোষ্ঠী ছিল পশ্চিমাদের মগজধোলাইয়ের শিকার।’

‘এই যুদ্ধ হলো তৃতীয় দেশগুলোর নীতির ফলাফল। আরও স্পষ্ট করে বললে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের নীতিই এ যুদ্ধের জন্য দায়ী।’

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম অঙ্গরাজ্য ইউক্রেন। কিন্তু তারপর থেকেই জাতিগত সংঘাত শুরু হয় দেশটিতে।

এই সংঘাতের প্রধান কারণ, ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ সরাসরি রুশ বংশোদ্ভূত এবং রুশভাষী। সোভিয়েত আমলে রুশ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় জনগোষ্ঠীর মোটামুটি সদ্ভাব বজায় থাকলেও ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পর দ্বন্দ্ব শুরু হয় এ দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

ইউক্রেনের রুশভাষী লোকজন বরাবরই নিজেদেরকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয়রা সবসময় নিজেদের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র জাতি মনে করতে অভ্যস্ত। মূলত এটিই দুই জনগোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মূল কারণ এবং এই দ্বন্দ্বের জেরে ১৯৯১ সালের পর গত ৩ দশকে জাতিগত সংঘাতে ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। দেশটির রুশভাষী জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও সরকারকে সরাসরি সহায়তা করেছিল।

এদিকে, রুশভাষীদের মোকাবিলা করতে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রাশিয়ার প্রধান বৈরীপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনৈতিক বলয়ে ঢুকতে দেন-দরবার শুরু করেছিল ইউক্রেন। রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া হারানোর পর এই তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের এই আবেদনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে মস্কো। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে কিয়েভকে আহ্বানও জানানে হয়, কিন্তু কিয়েভ তাতে কর্ণপাত করেনি।

প্রায় চার বছর এই ইস্যুতে ‍দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলার পর অবশেষে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Developed By : JM IT SOLUTION