আটলান্টিক সংবাদ নিউজ ডেস্ক: ইহকাল এবং পরকালের কথা ভেবে সমাজে কিছু কিছু ব্যক্তি তাদের কাজের মাধেমে সাধারন থেকে অসাধারন হয়ে উঠেন। এই অসাধরন কাজগুলো সম্ভব হয়েছে অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং মুসলিম সমাজের জন্য কিছু করার মানসিকতার কারনে । ২০০৯ সালের প্রথম থেকে সহযোদ্ধা এবং পারিবারিক বন্ধু ইকবাল হোসেনকে সাথে নিয়ে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ শুরু করেন অসাধারন এই ব্যক্তি আবদুর রহিম। তারই ফলশ্রুতিতে সামাজিক উন্নয়নে প্রথমবারের মত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।
গত ৯ই ডিসেম্বর,২০২২ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়ক সিটর গুলশান টেরেস পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবার্ষিকী এবং গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সংগঠনের সভাপতি এমলাক হোসেনের সভাপতিত্ত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আশিক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিউজার্সীর আটলান্টিক সিটির সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, প্রবাসী মুসলিম সমাজ বিনির্মানের দুই কারিগর, মুসলিম সিমেট্রি অফ আটলান্টিক কাউন্টির ,ইসলামিক সেন্টার অফ আটলান্টিক সিটি এবং আটলান্টিক সিটির মসজিদ আলহেরার সহ প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রহিমকে সন্মাননা প্রদান করেছেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অব ইউএসএ। বিপুল পরিমান চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই সদস্যদের উপস্থিতে আবদুর রহিম এবং ইকবাল হোসেন কে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডীন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর ডঃ আবদুল করিম ।
বাংলাদেশের ফেনী জেলায় জন্মগ্রহন করেন মুহাম্মদ আবদুর রহিম । তিনি চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৮৫-১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষে। হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র মুহাম্মদ আবদুর রহিম ১৯৯০ সালে অনার্স পরিক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন।১৯৯২ সালে এম কম হিসাব পরিক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। মুহাম্মদ আবদুর রহিম রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্টে প্রবাস জীবন শুরু করেন। মুহাম্মদ আবদুর রহিম এবং ইকবাল হোসেন আটলান্টিক সিটির ইসলামিক সেন্টার অফ আটলান্টিক সিটি, মসজিদ আল হেরা আটলান্টিক সিটি,নিউজার্সী এবং মুসলিম সিমেট্রি অফ আটলান্টিক কাউন্টি যৌথভাবে নির্মানের মাধ্যমে সাউথজার্সীতে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের কাছে মুসলিম সমাজ বিনির্মানের অন্যতম কারিগর হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।