আটলান্টিক সংবাদ ডেস্ক: গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ শনিবার অনুষ্ঠিত হয় গেল নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের আটলান্টক সিটির আইটি সংগঠন “নেক্সেটজেন আইটি প্রফেশনালস” এর উদ্যোগে পিঠা উৎসব এবং বিজয় দিবস উদযাপন। মূলতঃ সংগঠনটির মহিলা সদস্যদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল ভিন্নধর্মী এই পিঠা উৎসবের। আটলান্টিক সিটির বাংলাদেশী মহিলাদের আইডল হিসাবে পরিচিত আইটি ইঞ্জিনিয়ার ফাতেমা ইয়াসমিন, রোমানা পলি, রিফাত জাহানের সার্বিক পরিকল্পনায় এবং সহযোগিতায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিপলএন্ডটেকের প্রশিক্ষনার্থী এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রের ফরচুন ফাইভ হানন্ড্রেট কোম্পানীসহ নামকরা কোম্পানীতে দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজার, সুপারভাইজার, এবং সিনিয়ার গুরুত্বপূর্ন পদে কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীর লক্ষ্য নিয়ে পিপলএন্ডটেকের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এলামনাইদেরকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল নেক্সেটজেন আইটি প্রফেশনালস।
এ সংগঠনটি একদিকে যেমনি আইটির সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে ঠিক তেমনি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে আইটি চাকুরীতে অনুপ্রানীত করা এবং বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে। আইটি চাকুরীতে বর্তমানে যারা কাজ করছেন তাদের অধিকাংশই সপ্তাহ শেষে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন। তাদের এই ক্লান্তি দূর করার লক্ষ্যে “নেক্সেটজেন আইটি প্রফেশনালস সংগঠনটি প্রতি মাসে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে। এই ধরনের একটি সংগঠনের স্বপ্ন বুনন শুরু হয়েছিল পিপলএন্ডটেক আটলান্টিক সিটির প্রশিক্ষক এবং যুক্তরাষ্টের হোমল্যান্ড সিকিউটির ম্যানেজার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মীর হোসেনের পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত আছেন প্রায় ৭০ জন পিপলএন্ডটেক এলামনাই। যারা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছেন একে অপরের সাথে। মীর হোসেন জানান আইটি প্রতিষ্ঠানে যারা প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং আইটিতে যারা কর্মরত আছেন তারা নেক্সেটজেন আইটি প্রফেশনালস এর সদস্য হতে পারবেন। তিনি বলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ আমাদেরকে আইটি জবের পথ দেখিয়েছেন। এই পথকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার।
দুপুর দুইটায় পিপলএন্ডটেক আটলান্টিক সিটি ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব উদ্ভোধন করেন মীর হোসেন হেভেন। তিনি অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সেরা পিঠা প্রস্তুতকারীকে খুঁজে বের করার জন্য বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সফিকুল ইসলাম, মোঃ দিদার এবং মোহাম্মদ নুর নবীকে।
এরপর শুরু হয় পিঠা খাওয়ার পালা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্ধশতাধিক আইটি পরিবারের সদস্যবৃন্দ পিঠা খাওয়ার পর।পরিবেশনায় করা হয় সুস্বাদু দুপুরের খাবার। আইটি পরিবারগুলোর সুন্দর এবং সুশৃংখল আয়োজনের অন্যতম অংশ ছিল ধাঁধাঁর অনুষ্ঠান যার পরিচালনায় ছিল কাজী লিটন, মনির এবং রকি।