যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোঃ শাহিন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মত এইবছরও বিদেশী দূতাবাসের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।এবার বিদেশী দূতাবাসের অপতৎপরতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে এই তালিকায় সবছেয়ে এগিয়ে আছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ, ভিসা নীতি এবং নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরন অব্যহত রেখেছেন।তার এই ধরনের আচরনের বিষয় গুলোর বিস্তারিত বর্ননা তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠির উত্তর দিয়েছেন এবং এধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাকে সঠিক সময়ে অবহিত করার জন্য জনাব সিদ্দিকুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য কয়েক মাস যাবত বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জনাব পিটার হাস রাষ্ট্রদূতদের আন্তর্জাতিক নীতিমালাকে আমান্য করে বাংলাদেশ সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যহত রেখেছেন । তিনি বারবার বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্গনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন যদিওবা যুক্তরাষ্ট্র হরহামেশাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে । তা নিয়ে যেন রাষ্ট্রদূত জনাব পিটার হাসের কোন মাথা ব্যাথা নেই। মাথাব্যথা শুধু বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন নিয়ে । তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরাই ১৯৭১ সনে মানবতা বিরোধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড চালিয়েছিলেন। তারাই আবার এখন বিভিন্নভাবে দেশের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং দেশ যখন উন্নত দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে তখনই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার জন্য পিটার হাসদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।তাই পিটার হাসের অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে এর প্রতিকার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমানের লেখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এর কাছে দেয়া চিঠির সঠিক মূল্যায়ন হলে এই সূত্র ধরেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী সম্পর্কের অবসান হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন।
সঠিক সময়ে ডক্টর সিদ্দিকুর রহমানের উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন সহ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।