বেচাকেনার জন্য প্রস্তুত রাজধানী ঢাকার ১৯ কোরবানির পশুর হাট। এখন অপেক্ষা শুধু ট্রাকে ট্রাকে গরু-মহিষ-ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশু নিয়ে বেপারী, খামারি ও গৃহস্থদের আগমনের। হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ছকও এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে।ইতোমধ্যে অনেক হাটে পশু উঠাতে শুরু করেছেন ব্যাপারিরা।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ২৫ জুনের আগে কোরবানির পশু ঢাকার কোনো অস্থায়ী হাটে না তোলার নির্দেশ দেওয়া হলেও উত্তরা ও শাহজাদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার হাটে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বেপারী ও খামারি গরু-ছাগল নিয়ে হাজির হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। বেপারীরা জানান, ভালো জায়গা দখল করতেই তারা আগেভাগেই গরু নিয়ে হাটে চলে এসেছেন। যদিও এ জন্য তাদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তবে ভালো দামে গরু বেচতে পারলে তা পুষিয়ে যাবে।
কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে জায়গা চিহ্নিত করে বেপারীরা নাম লেখা কাগজ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তারা আগেভাগে আসলেও তাদের গরু-ছাগল ২৪ জুন রাতে কিংবা ২৫ জুন সকালে ঢাকায় ঢুকবে। হাটগুলোতে দালালদের আনাগোনাও আগেভাগেই শুরু হয়েছে। তারা এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে হাটে আসা বেপারী ও খামারিদের সঙ্গে তাদের গরু বিক্রি করে দেওয়ার জন্য আগাম চুক্তি করার চেষ্টা করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বৃহত্তম স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে বিভিন্ন ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। হাটের ভেতরে যেসব রাস্তায় গরুর ট্রাক ঢুকবে তা সংস্কারে ব্যস্ত একদল শ্রমিক। ইজারাদারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থায়ী পশুর হাট হলেও কোরবানির পশুর বড় চালান এখনো সেখানে আসেনি। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ গরু-ছাগল-মহিষ বেশি আসছে। বিক্রিও বেশখানিকটা বেড়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ‘ডিএনসিসিতে একটা স্থায়ী গরুর হাট ছাড়া আরও আটটি অস্থায়ী হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি হাটেই ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘হাটগুলোতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ ও সড়কে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।’