এক সময় অনেক মানুষের নুন-ভাত জুটাতে কষ্ট হতো বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন কেউ মাংস পাচ্ছে না বলে তা নিয়ে কথা হয়। তার মানে নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা মাংস-ভাতে উন্নীত করতে পেরেছি। মানুষ তো মাংস-ভাত খাওয়ার সামর্থ্য পেয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে, তা আমি জানি। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক চক্রান্ত আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে দেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে জনগণের জন্য; জনগণের সেবা করতে।
বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির আমলের চেয়ে আমাদের বাজেট ১০ গুণ বাড়িয়েছি। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাজেট কমাইনি আমরা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি পাওয়াই অনেক কষ্টসাধ্য। মাঝখানে কয়লা না থাকায় রামপাল-পায়রা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মানুষকে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে হয়। এ সংকট আগামী দিনে আর না হওয়ার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখন রামপাল কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র করতে যাই, তখন তো অনেকে প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র বন্ধের সময়, তখন তারা আনন্দ মিছিল করেন কেন? তারা জানে, সেটা করতে গেলে মানুষ পিটিয়ে চ্যাপটা করে ফেলবে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ কোথায় ছিল, আওয়ামী লীগের হাতে কোথায় এসেছে- এর একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো, সেটা দিতে পেরেছি। সব ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু কোভিডের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসে। চলাচল বন্ধ, সেই মন্দার আঘাত আমাদের উপরেও আসে। সেখান থেকে আমরা যখন কিছুটা উত্তরণ ঘটাচ্ছি তখনই আসল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। শুধু আমাদের দেশ নয় বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ঘাটতি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা আমরা পূরণ করে যাচ্ছি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।