চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে ভোট আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকবে না।
নির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের এস এম ফরিদ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য বুধবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসাররা।
এই আসনে একাদশ সংসদের চলতি মেয়াদে সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে তিন দফায় ভোট হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে গত তিন বছর সাড়ে চার মাসের মধ্যে দুইবার উপনির্বাচন হচ্ছে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ডিবির মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া তিন প্লাটুন বিজিবি এবং তিন প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি দায়িত্বে থাকবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটকক্ষে অযাচিত কোনো ব্যক্তি যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য যা যা করা দরকার আমরা তার সব ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা থাকবেন। এর বাইরেও সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচন মনিটর করবেন। কেন্দ্রে অযাচিত ব্যক্তি অবস্থান করলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি। এর মধ্যে ৭৬টি ভোটকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। এসব কেন্দ্রে ১৭ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ১৬ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে আসটি শূন্য হয়। এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল।