বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রথমবারের মতো চললো বিশেষ ট্রেন। এতে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় আরও একটি সফলতার পালক যুক্ত হলো।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ছেড়ে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।
যাত্রা শুরুর আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্ন একটা একটা করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ ট্রেনের ট্রায়াল রান চলছে।
তিনি বলেন, আগামী আগস্টের মধ্যে রেলওয়ের কাজ শেষ হবে এবং সেপ্টেম্বরে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা রেলকে যশোর পর্যন্ত নিয়ে যাব। তবে তার জন্য আমাদের ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, যাত্রীদের জন্য ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪টি স্টেশন ও ১টি জংশন স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো হলো-ভাঙ্গা স্টেশন, ভাঙ্গা জংশন স্টেশন, শিবচর স্টেশন, পদ্মা স্টেশন ও মাওয়া স্টেশন।
প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০৩০ সাল নাগাদ রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে প্রতিদিন ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। একইভাবে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে প্রতিদিন সাত জোড়া ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে প্রতিদিন চলবে পাঁচ জোড়া ট্রেন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বছরে ৪০ লাখ, ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে বছরে ১৭ লাখ ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে বছরে সাড়ে ১৩ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। ‘ওয়ান-ডিরেকশন’ বা একমুখী চলাচলের ওপর ভিত্তি করে প্রাক্কলনটি তৈরি করেছে সিআরইসি।