বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশেষ উপহার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে আপনাদের কাছে এসেছি একটা বিশেষ উপহার নিয়ে। দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। দইজ্জার তল দিয়ে সবাই বাড়ি যাবে।’
শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে জনসভায় এই কথা বলেন তিনি।
কর্ণফুলীর উপর নতুন করে ব্রিজ তৈরির পরিবর্তে টানেল নির্মাণের কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে দইজ্জার তল দিয়ে যে গাড়ি চলার ব্যবস্থা অর্থাৎ টানেল- কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম পোর্ট বারবার সিলিটেশন (পলি জমা) হয়। যত বেশি আমরা ব্রিজ করব তত সিলিটেশন বাড়বে। সে কারণেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এখানে আমরা নদীর নীচ দিয়ে টানেল করে দিব।’
কিছুক্ষণ আগেই সেই টানেল আমরা উদ্বোধন করেছি। এই টানেল শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ, পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগে একটা বিরাট ভূমিকা রেখে যাবে। এখন আর ওই ঝড় বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। নদীর তল দিয়েই গাড়ি চলাচল করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় টানেল এটা এই প্রথম।’
এসময় টানেল নির্মাণে সহযোগিতার জন্য চীনের সাবেক রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি চীনের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। চীন সফরে যেয়ে আমি তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছেন। এবং আজকে আমরা সেই টানেল তৈরি করেছি। আজকে থেকেই এই টানেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য আমাদের দেশটা আরও উন্নত হোক। এখান থেকে কক্সবাজার যেতে বহু সময় লাগতো, এখন আর বেশি সময় লাগবে না। বা ঢাকা থেকে একেবারে শহর বাইপাস করে যাবে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে ঢুকি যানজটে পড়তে হবে না। টানেল দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত হব যা আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকে রাখবে।’
এসময় টানেল নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।