1. jmmasud24@gmail.com : ablogin :
  2. abmnewws5@gmail.com : Akbar Hussain : Akbar Hussain
  3. shahinbangla71@gmail.com : Mohammed Shahin : Mohammed Shahin
  4. jmitsolution24@gmail.com : support :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫০ অপরাহ্ন

গাজায় পানি সংকট জীবন-মৃত্যুর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৫৫ Views

ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইসরায়েল পানি সরবরাহ বন্ধ করার পর গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য পানি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিন রিফিউজিস ইন নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) শনিবার (১৪ অক্টোবর) জানিয়েছে, পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘এটা জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি একটি আবশ্যক বিষয় যে, ২০ লাখ মানুষের জন্য পানি সরবরাহের জন্য এখনই গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা দরকার।’

মানবিক সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে কারণ এর ওয়াটার প্ল্যান্ট এবং পাবলিক ওয়াটার নেটওয়ার্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা এখন কূপের নোংরা পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে এবং পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল গত বুধবার থেকে গাজায় বিদ্যুত বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েল স্থল অভিযানের আগে গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশকে জাতিসংঘ ‘অসম্ভব’ বলে আখ্যায়িত করেছে। গত সপ্তাহ থেকে সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

লাজারিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন গাজায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে হবে। মানুষের নিরাপদ পানীয় জলের একমাত্র উপায় হলো বিদ্যুৎ। যদি তা না হয়, মানুষ মারাত্মক পানিশূন্যতায় মারা যেতে শুরু করবে, তাদের মধ্যে ছোট শিশু, বয়স্ক এবং নারীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পানিই এখন শেষ অবশিষ্ট জীবনরেখা। আমি মানবিক সহায়তার স্বার্থে অবরোধ এখনই তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’

গত শনিবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের উপর একটি আশ্চর্য বহুমুখী হামলা চালায়, যাতে কমপক্ষে ১,৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়।

ইসরায়েল তখন গাজার ছিটমহলে হাজার হাজার বোমা ফেলে অন্তত ২,২১৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

ইউএনআরডব্লিউএ আরও বলেছে, গাজায় তাদের আশ্রয়কেন্দ্র আর নিরাপদ নয়।

সংস্থাটি বলেছে, ‘যুদ্ধের নিয়ম আছে। বেসামরিক ব্যক্তি, হাসপাতাল, স্কুল, ক্লিনিক এবং জাতিসংঘের প্রাঙ্গণ হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদেরসহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সংঘাতের পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার কোনও প্রচেষ্টাই বাদ দিচ্ছে না ইউএনআরডব্লিউএ।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘এই যুদ্ধের ব্যতিক্রম হওয়া উচিত নয়। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং জাতিসংঘ ভবনসহ বেসামরিক অবকাঠামো এই সংঘাতের বাইরে প্রযোজ্য।’

আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশ কয়েক হাজার শিশুসহ ২০ লাখ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যাদের জরুরিভিত্তিতে এটি প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Developed By : JM IT SOLUTION