যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভালাস নয়েস।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শরণার্থীদের (রোহিঙ্গা) ও তাদের আশ্রয়দাতা বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি, কারণ সকল মানুষ নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের অধিকার রাখে।
জুলিয়েটা ভালাস নয়েস গত ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বাংলাদেশ সফর করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে উদারভাবে আশ্রয়দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে এবং একই সঙ্গে এটাও স্বীকার করে যে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের এখনও ঘরে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আমাদের ব্যাপক সহায়তার অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশনার এবং অন্যান্য পুনর্বাসনকারী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রনয়ণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ও ভাসানচরে শরণার্থী শিবির পর্যবেক্ষণ করেছে, যেখানে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি অন্যান্য অনেক দেশ, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
নয়েস বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকান জনগণ মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের জন্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ও সহিংসতা বন্ধে আমরা বার্মার (মিয়ানমার) ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠকে নয়েস জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য নিয়ে যাবে।