তিন বছর লালন-পালন করে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে নিজেই গরু বিক্রি করতে এসেছেন আলাউদ্দিন হোসেন। গত এক সপ্তাহে তিনটি হাটে তিনি গরু নিয়ে যান বিক্রির আশায়। কিন্তু তিনি বিক্রি করতে পারেননি। শেষমেষ রোববার বালিয়াকান্দি হাটে তিনি গরুটি বিক্রি করতে সক্ষম হোন।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আলাউদ্দিনের মতো অনেক পশু বিক্রেতায় এখন পর্যন্ত পশু বিক্রি করতে পারেনি। পশু ব্যবসায়ীদের দাবি- এখন পর্যন্ত জমে ওঠেনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বিভিন্ন হাট-বাজার। সবাই ঘুরে ফিরে পশু দেখে দামদর করে চলে যাচ্ছে। কেনার চেয়ে দেখার মানুষ বেশি। যে পশু বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে মাঝারি ধরনের পশুর চাহিদা বেশি। দামও বেশ। তবে তারা আশা করছেন চলতি সপ্তাহে বেচাকেনা বেড়ে যাবে বেশ কয়েকগুণ।
গরু ক্রেতা জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আর অল্প কয়েকদিন বাকি আছে কোরবানির। তাই গরু কিনতে এসেছি। এখনো দরদাম করে যাচ্ছি। দেখা যাক, পছন্দের পশু যদি কাঙ্খিত দামে পেয়ে যাই তাহলে আজই কিনব। আগে কেন কেনেনি এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পশু কিনে রাখা ও তার যতœ করাটা একটু কষ্টসাধ্য। তাই আগেস ক্রয় করি নাই।
বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের পশু বিক্রেতা জমির উদ্দিন জানান, তিনি একটি খাসি বিক্রি করার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরছেন। চাহিদা অনুযায়ী দাম না বলায় তিনি পশুটি ফিরে নিয়ে যান। এখন যে দামই হোক তিনি পশুটি বিক্রি করে দিতে চান।
গরু ব্যবসায়ী বাবু মুন্সী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পশুর দাম ভালো। তবে এখন পর্যন্ত বেচাকেনা জমে ওঠেনি। বড় পশুর চেয়ে ক্রেতারা মাঝারি পশুর দিকে বেশি ঝুঁকছে। দেখি এই সপ্তাহে কি হয়।
বালিয়াকান্দির সবচেয়ে বড় পশুর হাট রামদিয়ার ইজারাদার ফারুক মন্ডল এবং তেতুলিয়ার লতিফর শেখ রতন জানান, হাটে সকল প্রকারের প্রচুর পশু উঠেছে। ক্রেতাও ছিল বেশ। তুলনামূলক একটু বেচাকেনা কম হয়েছে। তবে যে বিক্রি হয়েছে তাতে সবাই খুশি। এখনো সামনে দুটি হাট রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বালিয়াকান্দিতে ১ হাজার ১৯৫ টি খামার রয়েছে। এ সকল খামারে ৭ হাজার ৮৯২ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এমধ্যে ৩৮২৫ টি ষাঁড়, ১৮টি বলদ, ৩৪৮৪টি ছাগল, ৫৫৫টি গাভী, ২টি মহিষ ও ৮টি ভেড়া রয়েছে।