আকবর হোসাইন আটলান্টিক সিটি থেকে: যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে যাদের বাংলাদেশে রয়েছে জমি,বাড়ি এবং ব্যাংক একাউন্ট। এছাড়াও যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তাদের ভিসা হালনাগাদ রাখাও একটি অতীব জরুরী কাজ।যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সীতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ছুটে যেতে হয় নিউইর্য়কস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটে।প্রবাসীদের বিভিন্ন জটিলতাকে দূর করা এবং দূর্ভোগ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবছর নিউইর্য়কস্থ বাংলাদেশ কনসুলেট এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই বছর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির এবং আটলান্টিক সিটি নিউজার্সির স্টকটন ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আটলান্টিক সিটিতে আয়োজন করা হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির উদ্যোগে গত ১৬ মে ২০২৩, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় নিউয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সার্বিক সহযোগিতায়।সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৬টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী কনস্যুলেটের এই সেবা গ্রহন করেন। একদিনে এতবেশী বাংলাদেশীর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সেবা গ্রহন ছিল নিউজার্সীর আটলান্টিক কাউন্টিতে এটাই প্রথম। একদিনে ৫ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীর সেবা গ্রহন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলানটিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দিল ইতিমধ্যে আটলান্টিক কাউন্টিতে প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই প্রবাসীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দকে আরও অধিক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের ফাস্ট সচিব প্রসূন কুমার চক্রবর্তী(পাসপোর্ট এবং ভিসা), প্রশাসনিক কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী আকন্দ, পারসনাল অফিসার মোঃ আবদুল আউয়াল এবং রোমন দেবনাথ এবং গাড়ি চালক সফিকুল ইসলাম এই সেবা প্রদান করেন।
কনসুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ নিউইর্য়কের ফাস্ট সচিব প্রসূন কুমার চক্রবর্তী(পাসপোর্ট এবং ভিসা) জানান বর্তমান সরকারের নীতি হল প্রতিটি প্রবাসীর দ্বারপ্রান্তে কনসুলেটের সেবা পৌঁছে দেয়া। তাই পাঁচ শতাধিক লোকের কাছে সেবা প্রদান সত্যিই আনন্দের। তিনি জানান আটলান্টিক কাউন্টিতে বসবাসরত প্রবাসীদেরকে কনসুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ নিউইর্য়ক সবসময় সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা আরও জানান ৩৪৫ টি নো ভিসা রিকয়ার্ড, ডুয়েল সিটিজেনশীপের আবেদন ১৭টি, জন্ম সনদ ৪টি, নোটারী ৪টি, মেসিন রিডেবল পাসপোর্ট ডেলিভারী ৫টি ও ১৫১ টি পাসপোর্ট নবায়নসহ প্রায় আরও শতাধিক প্রবাসীকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হয়।
বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সকাল দশটার আগেই ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা গ্রহণের জন্য আটলান্টিক সিটির স্টকটন ইউনিভার্সিটির জন কারফা হলের সামনে সমবেত হন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির কর্মকর্তাদের সাদর সম্ভাষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এই সেবা গ্রহণ করেন।
নিউইয়র্ক থেকে আগত কনস্যুলেট জেনারেল ও তার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শহীদ খান এবং সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।ভবিষ্যতে এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।