প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার (১২ মে) দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধন করবেন। আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতা জোরদারে আলোচনার জন্য এতে অন্তত ২৫টি দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
কোভিড-পরবর্তী অবস্থা এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এবারের কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘পিস, প্রসপ্যারেটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফর আ রেসিলিয়েন্ট ফিউচার’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংকালে বলেন, আমরা আশা করছি, এই কনফারেন্স থেকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলো যে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ আসবে- যা এই এলাকার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, এই আইওসি আয়োজনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে। মোমেন বলেন, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপুন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শংকরসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
এছাড়া ডি ৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ বিদেশি অতিথি সম্মেলনে অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরও পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সম্মানে এক নৈশ্যভোজের আয়োজন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মরিশাসের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং দেশটির রাষ্ট্রপতির সফরের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সম্মেলনের ৬ষ্ঠ সংস্করণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সম্মেলনটি ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্ব’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে শক্তিশালী করতে রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে মূল স্টেকহোল্ডারদের আলোকিত এক সমাবেশে একত্রিত করবে।
ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল এবং গত ছয় বছরে এটি আঞ্চলিক বিষয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলির জন্য একটি ফ্ল্যাগশিপ পরামর্শমূলক ফোরাম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।সম্মেলনটি এতদাঞ্চলের সকলের নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচনে এই অঞ্চলের দেশগুলো এবং প্রধান সামুদ্রিক অংশীদারদের একটি অভিন্ন মঞ্চে একত্রিত করার একটি প্রয়াস।