তুরস্কে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর অবস্থা আরও ভয়াবহ। দেশটির ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী—দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এটি দেশটির উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।
ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সিরিয়ায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাঠাবে ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটি ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে যে ভূমিকম্পের পরে কঠোর পরিস্থিতির কারণে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের দ্বিতীয় সম্ভাব্য বিপর্যয় আঘাত করতে পারে। আশ্রয়, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে ‘হোয়াইট হেলমেট’ সিভিল ডিফেন্স গ্রুপের মতে, উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ২ হাজার ৩৭ জন মারা গেছেন এবং ২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন।
হোয়াইট হেলমেটের প্রধান রায়েদ আল-সালেহ জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।
রায়েদ আল-সালেহ আরও বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাক ভর্তি সাহায্য সামগ্রী। এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।