1. jmmasud24@gmail.com : ablogin :
  2. abmnewws5@gmail.com : Akbar Hussain : Akbar Hussain
  3. shahinbangla71@gmail.com : Mohammed Shahin : Mohammed Shahin
  4. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

৪২.৬ ডিগ্রিতে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, জনজীবনে নাভিশ্বাস

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৭৫ Views

টানা তৃতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৮ শতাংশ।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য হওয়ার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিকে, সূর্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি ও শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আজ দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ২২ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রার পারদ আরও ৩ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৪৮ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, টানা তাপদাহের ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনপদ। দিন-রাত প্রায় সমানতালে গরম অনুভূত হচ্ছে। এই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকে বৈদ্যুতিক ডিপ টিউবওয়েলের পানিতে গোসল করছেন। অনেকে আবার ডাব ও ঠাণ্ডা লেবুর শরবত পান করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঁচাবাজার করতে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘এই গরমে বাইরে বের হলেই অনেক পানি পিপাসা লাগে। শরীর অনেক ঘেমে যায়। বাজার করতে এসেছিলাম, মনে হচ্ছে শরীর আগুনে ঝলসে যাচ্ছে। তাই লেবুর শরবত খেতে শরবতের দোকানে এসেছি।’

জীবননগর উপজেলার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছিলেন আমির হোসেন নামের এক দিনমজুর। তিনি জানান, ‘এই কড়া রোদের মধ্যে ভুট্টা শুকাতে এসে মনে হচ্ছে নিজেই শুকিয়ে যাচ্ছি। তাই একটু পরপর হাতে-মুখে পানি দিয়ে নিচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Developed By : JM IT SOLUTION