আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের দফা একটা শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের এক দফা সংবিধানসম্মত নির্বাচন। বিএনপির ডিসেম্বরের স্বপ্ন গোপীবাগের গরুর হাটে গিয়ে মারা গেছে। বিএনপির একদফার স্বপ্ন নয়াপল্টনের কাঁদাপানিতে আটকে গেছে। জাতীয় কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, আওয়ামী লীগের অধীনেই হবে আগামী নির্বাচন। আওয়ামী লীগেরও লক্ষ্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে তাদের প্রতিহত করা হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশের সড়কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আয়োজিত এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সাথে কোন আপোষ নয়, সংলাপ নয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নয়াপল্টনে বসে সরকারের পদত্যাগ দাবি মামার বাড়ির আবদার। এক দফা আসল ইস্যু না, আসল ইস্যু হচ্ছে এদেশের উন্নয়ন বিএনপির সহ্য হয় না। যে হাতে আগুন দেবে সে হাত ভেঙে দেয়া হবে। তাই সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ কারো করদ রাজ্য নয়। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘বিদেশিদের উপস্থিতিতে বিএনপি একটা শোডাউন করতে চায়। কারণ মানুষ বিএনপির সঙ্গে নেই। এখন বিদেশী প্রভুরাই বিএনপির ভরসা। আজকে গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি মায়াকান্না করে। আজকের এক দফা আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, ভুয়া বলে প্রমাণিত হবে।’এর আগে বেলা দেড়টা থেকে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা শুরু করেন। আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। বিএনপির জ্বালাও–পোড়াও সন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে যায়নি।’

সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে রয়েছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।