আটলান্টিকসংবাদ ডেস্ক: ১৫ বছর ধরে যে দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম অবশেষে বাংলাদেশে সে মহেন্দ্রক্ষন দিনটি আসল্ গত ৫ আগষ্ট, ২০২৪ এমনটিই বলছিলেন নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি সাউথের নেতৃবৃন্দ। আগামী কয়েক শতকেও বাংলাদেশের সতর কোটি মানুষ হয়ত আর এমন বিজয় দেখতে হবে না। তাই এই দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত হাজারো বাংলাদেশীদের জন্য নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি সাউথের এই বিশাল মেজবানের আয়োজন বলে জানান নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি সাউথের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাউছার এবং সাধারন সম্পাদক এম রহমান বাবুল।
বিশাল এই আয়োজনের প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র এবং বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুস সালামের সহধর্মীনি বিএনপি নেত্রী ফাতেমা সালাম। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফাতেমা সালাম প্রবাসের শত শত বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা এবং উজ্জীবিত করার জন্য অন্য আরেকটি ষ্টেট থেকে একদিনের জন্য ফ্লাইটে ছুটে আসেন। আবেগ ভরা কন্ঠে বক্ত্যবের শুরুতেই তিনি বলেন, ১৫ বছর পর যে জগদ্বল পাথর কোটি কোটি মানুষের বুক থেকে সরে গেল এই বিজয় উদযাপন না করে আমিত বাসায় বসে থাকতে পারিনা। তাই নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি সাউথ এর সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাউছারের কাছ থেকে আমন্ত্রন পেয়ে সাথে সাথে নিউজার্সীতে আসার কথা ওনাকে জানিয়ে ছিলাম। অনুষ্ঠানস্থল আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠে বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রাক্তন এপিএস আশিকুর রহমান এবং নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি নর্থের সভাপতি সৈয়দ জুবায়েরের উপস্থিতি।
নিউজার্সী ষ্টেট বিএনপি সাউথের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাউছার এবং সাধারন সম্পাদক এম রহমান বাবুল, সাংগাঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনসহ দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের লেক লেনেপী পার্কের মনোরম পরিবেশে গত ১৫ আগষ্ঠ ২০২৪ একটি গরু এবং দুইটি ছাগল রান্না করে স্বৈরাচারী খুনী হাসিনার পদত্যাগ এবং পলায়ন উপলক্ষ্যে এই উদযাপন বলে নেতৃবৃন্দ জানান। এছাড়াও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি উপলক্ষ্যে ও তাদের এই আয়োজন বলে জানান আয়োজকবৃন্দ।
কয়েক শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের লেক লেনেপী পার্কের হিম শীতল বাতাসে শান্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও দেশে অবস্থানরত পরিবারের আহাজারী যেন শুনতে পেয়েছিলেন প্রবাসীরা ।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যের প্রথমেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যে সকল বীর ছাত্র ছাত্রী,আপামর জনতা অকাতরে প্রান দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের ন্যায় বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাদের সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এই মেজবানে অন্যতম আয়োজক ছিলেন এম এইচ রেজা, রানা কবির, জহিরুল ইসলাম সেন্টু, গোলাম হাফিজ, মোঃ করিম,মাহতাব মনির,আনোয়ার হোসেন,আবদুল কালাম হাসান,দিদার, কায়সার, জিয়া, কামরুল, নাসির, ইকবাল,গিয়াস উদ্দিন, নান্না, মোসাদ্দেক মাওলা, জসিম, মোঃ আলী ও শাহজাহানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
মেজবান শেষে সবাইকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাউছার এবং সাধারন সম্পাদক এম রহমান বাবুল।