আটলান্টিক নিউজ ডেস্ক: সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে  ৫-৬ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিদেশের মাটিতে যে একটি জমজমাট  “বাংলাদেশ মেলা করা সম্ভব তা প্রমান করল বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দ। গত ৮ই আগষ্ঠ,২০২৩ বিপুল পরিমান বাংলাদেশীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রবাসী হাজারো মানুষের প্রানের মেলা “বাংলাদেশ মেলা”।

বিকেল সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ মেলার বিশেষ অতিথী স্টকটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডঃ এম শাহ আলম খান মেলা উদ্ভোধন করেন। প্রধান অতিথি  হাজী আব্দুল কাদের মিয়া ব্যক্তিগত কারনে বাংলাদেশ সফরে থাকায় মেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।

সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মেলার ভীড়। উপস্থিত প্রবাসীদেরকে নির্মল আনন্দ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন আটলান্টিক সিটির জনপ্রিয় এবং এনটিভির ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত শিল্পী নিলাদ্রী চৌধুরী, জয়ন্ত সিনহা,আসিফ আনোয়ার  এবং কামরুন নাহার পান্নার গান শুরু হয় ৭টায়।

স্থানীয় শিল্পীদের গানের  তালে তালে পুরো ষ্টেডিয়ামস্থল ছিল মুখরিত। সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্যা নিবেদিতা ভট্রাচার্যের কোরিওগ্রাফিতে ছোট ছোট মেয়েদের দেশীয় গানের সাথে নৃত্য পরিবেশনা ছিল দেখার মত।

মাগরিবের নামাজের বিরতির পর  শুরু হয়  ডেমোক্রেট এবং রিপাবলকান পার্টির যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রীমের নেতৃবৃন্দের পরিচিতি পর্ব।  যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রীমের নেতৃবৃন্দের  মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের  সিনেটর ভিনস প্যালিস্টিনা, নিউজার্সীর কংগ্রেসম্যান জেফ ভেন ড্রর প্রতিনিধি মোহাম্মদ উমর,এসেম্বলীম্যান ডন গার্ডিয়ান, আটলান্টিক কাউন্টির  ডেমোক্রটিক পার্টির চেয়ারম্যান মাইক সোলায়মান,আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল, আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলম্যান আনজুম জিয়া,আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলম্যান কলিম শাহবাজ, আটলান্টিক সিটির পুলিশ চীফ জেমস সারকোস, আটলান্টিক সিটির ফায়ার চীফ স্কট ইভানস,  সহ ডেমোক্রেট এবং রিপাবলকান পার্টির যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রীমের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মলের “ইটস এ গ্রেট ডে” বক্তব্যের সাথে সাথে শূরূ হয়  বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দের সমবেত করতালী। কারন এই দিনটি ছিল বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতাকর্মীদের জন্য বাস্তব্যেই গ্রেট ডে। মেয়র মার্টি স্মলকে বিশাল গোলাপ ফুলের মালা দিয়ে বরন করা করেন  অতশী রয় চৈতী,অপরাজিতা সরকার এবং জয়শ্রী দে।  আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মলের হাতে তুলে দেয়া হয় ট্যু ফ্রেন্ডসশীপ এওয়ার্ড। উচ্ছসিত মেয়র হাজারো প্রবাসীর সামনে বলেন আটলান্টিক সিটির বাংলাদেশীরা আমার সত্যিকারের বন্ধু। তা ইতিমধ্য তারা প্রমান করেছে। তিনি এই বন্ধুদের হাতকে আরও প্রসারিত করার জন্য নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী আটলান্টিক সিটির ফ্লোরিডা এভিনিউতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতাকর্মীদের জন্য অফিস ভবনের কাগজ পত্র হস্তান্তর করেন। ভবনের কাগজ পত্র হাতে পেয়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সকল নেতৃবৃন্দ আনন্দে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।  অনুষ্ঠানে আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড নির্বাচনে প্রার্থী ফরহাদ সিদ্দিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল।

শত ব্যস্ততার মাঝেও রেজাউল ইসলাম খালেদকে সোসাল ওয়ার্ক  এওয়ার্ড,মোহাম্মদ আবদুর রবকে লাইফটাইম আউট স্টেন্ডিং লিডারশিপ এওয়ার্ড , সাঈদ আলম মুকলকে লাইফ টাইম আউট স্টেন্ডিং লিডারশীপ এওয়ার্ড, সাঈদ শহীদকে কমমিউনিটি অরগানাইজার এওয়ার্ড, মোঃ নজরুল  ইসলাম আকাশ লাইফটাইম আউট স্টেন্ডিং লিডারশীপ এওয়ার্ড. ,বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব আটলান্টিক সিটির সাধারন সম্পাদক  মোঃ শাহীনকে নিউজ পেপার এন্ড জার্নালিজম এওয়ার্ড ,নিবেদিতা ভট্রাচার্যকে  লাইফ টাইম আউট স্টেন্ডিং লিডারশীপ এওয়ার্ড, মোঃ আজিজুল ইসলামকে লাইফ টাইম আউট স্টেন্ডিং লিডারশীপ এওয়ার্ড, মো আনজুম জিয়া  এবং কাসুয়ান ম্যকেনলীকে  সোসাল ওয়ার্ক এওয়ার্ড,আটলান্টিক সিটি পুলিশ চীফ জেমস সারকোস এবং ফায়ার চীফ স্কট কে ইভানসকে, কাউন্সিলমান কলিম শাবাজ এবং আটলান্টিক কাউন্টি শারীফ এরিক শেফলারকে স্পশাল রিকগনেশান, এওয়ার্ড এবং ট্যু ফেন্ডশীপ  এওয়ার্ড প্রদান করা হয়  আবদুল কাদির মিয়া এবং আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মলকে।

এছাড়াও দেশে এবং প্রবাসে সামজিক উন্নয়ন খাতে অভুতপূর্ব অবদান রাখার জন্য কংগ্রেসম্যান জেফ ভ্যান ড্র এবং ডিসট্রিক ২ নিউজার্সী ষ্টেট সিনেটর ভিনস প্যালিস্টিনার পক্ষ থেকে কংগ্রসোনাল প্রোক্লেমেশান প্রদান করা হয় নিউজার্সীর কংগ্রেসম্যান জেফ ভেন ড্রর প্রতিনিধি মোহাম্মদ উমর, নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের  সিনেটর ভিনস প্যালিস্টিনা,এসেম্বলীম্যান ডন গার্ডিয়ানের অফিস থেকে আটলান্টিক কাউন্টিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশেষ সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়  ।

প্রায় ৫-৬ হাজার বাংলাদেশীর এই মহামিলনে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী আটলান্টিক সিটির সেন্ট ক্যাসেল ষ্টেডিয়াম পরিনত হয়েছিল এক খন্ড বাংলাদেশে ।পূরো মাঠের চারিদিকে বাংলাদেশী পন্যের সমাহার এবং দেশীয় স্বাদের আহারে ব্যস্ত ছিলেন শত শত বাংলাদেশী। বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী পথিক হাসান , কালা মিয়া, সায়রা রেজা,রেশমী রেজার সংগীত পরিবেশনা  ছিল  দর্শকের কাছে খুবই আনন্দায়ক। জনপ্রিয় উপস্থাপক বুলবুলের প্রানবন্ত উপস্থাপনায় মেলার পরিবেশ হয়ে উঠে অতিথীদের কাছে খুবই আনন্দদায়ক ও প্রানবন্ত।

উদ্ভোধনী বক্তব্যে ডঃ শাহ আলম  বলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী সংস্কৃতির বিকাশের জন্য বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ মেলার মাধ্যমে যে প্রচেষ্ঠা চলছে তাকে আরও বেগবান করতে হবে । তিনি বলেন প্রবাসে প্রতিটি বাঙ্গালীই এক একজন এমবাসিটর। তাই আমাদের সবাইকে দশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ মেলার মাধ্যমে  বিদেশে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি তুলে ধরার যে ধারাবাহিক  প্রচেষ্ঠা শুরু হয়েছে তার জন্য  তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন এবং  ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

মেলার আহবায়ক মোঃ সাঈদ আলম মুকুল এবং সদস্য সচিব ফরহাদ সিদ্দিকী জানান    আটলান্টক কাউন্টির বাংলাদেশীদের প্রত্যাশা পূরনে তাদের সংগঠন একদাপ এগিয়েছে এইবছর।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিসহ পার্শ্ববর্তী সিটিতে বসবাসরত প্রায় দশ  থেকে বারো হাজার প্রবাসী। বাংলাদেশীদের প্রত্যাশা পূরন করতে পেরে অন্যান্য বারের মত এইবারও তারা আনন্দিত এবং  উল্লসিত বলে জানান। তারা  আরও বলেন এইবারের বাংলাদেশ মেলাকে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য  বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অবআটলান্টিক কাউনটির সভাপতি শহীদ খান এবং সোহেল আহমেদের নেতৃত্বাধীন প্রায় ৫০ জনের বিশাল বহর রাত দিন তাদের কার্যক্রম চালিয়েছিল। প্রতিবারের ন্যায় এইবারও প্রথম ‘বাংলাদেশ মেলা’কে ঘিরে আটলান্টিক কাউনটিসহ সমগ্র নিউজার্সীতে বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছিল বলে তারা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ মেলায় প্রবাসী কৃতি ছাএ-ছাএীদেরসম্বর্ধনা দেওয়া হয়।কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন জয়শ্রী দে অতশী রয় চৈতী,অপরাজিতা সরকার । জয়শ্রী দে’র পরিচালনায় প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।এইবারের সংবর্ধনায় বিপুল পরিমান ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহন করে।

মেলায় আপ্যায়ন কমিটির প্রধান রেজাউল ইসলাম খালিদ ছিলেন আপ্যায়নের ক্ষেত্রে ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশী এবং বিদেশীদেরকে সুন্দরভাবে আপ্যায়ন সবার নজর কাড়ে।

এইবারও অন্যন্যবারের ন্যায় সৈয়দ মোঃ কাউছার, কাঞ্চন বল, সাব্বির ভূঁইয়া, আমিরুল ইসলাম টফি, মিরাজ খান, আহসান হাবিব, সোহাগ করিম, ঈসমাইল হোসেন.মো কালাম, সাঈদ শহীদ, ফেরদৌস, লিমন,   এবং  আলী হোসেন মোহাম্দ সেলিম, হাবিব চৌধুরী,,শেখ সেলিম, ফরহাদ সিদ্দিক, কৃষ্ণ গোপাল চৌধুরী, বিপ্লব দাস, বিপ্লব দেব, জয়ন্ত সিনহা সফিকুল ইসলাম,শামীম সাকিব, রাহিন, মুন্না,সজল, লিখন কাজীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছিলেন খুবই সক্রিয়। তবে মিরাজ খান, জয়শ্রী দে এবং চৈতীর ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মত।

মেলার প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মোঃ কাউছার বলেন আমরা গতবারের ন্যায় এইবারও অনলাইন মিডিয়াকে তারা  সফলতার সাথে কাজে লাগানোর কারনে আমাদের মেলা সাফল্য মন্ডিত হয়েছে।তিনি বলেন এ ব্যাপারে বাংলাদেশএসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সকল নেতাকর্মী তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি আরও বলেন মেলার মাধ্যমে আয়কৃত টাকার অধিকাংশই এসোসিয়েশনের জন্য নিজস্ব ভবন সংস্কারে ব্যয় করা হবে। মেলাকে ঘিরে সকল নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরী হয়েছে তা অতীতের ন্যায় আগামীতে সফল ভাবে কাজে লাগানোর জন্য তাদের সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশএসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউনটির ট্রাষ্টিবোর্ড প্রধান কাঞ্চন বল জানান মেলা আয়োজনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সকলের আন্তরিকতাই  মেলার সফলতার মূলমন্ত্র ছিল।

সার্বিক পরিচালনা প্রধান আহসান হাবিব জানান সকলের মতামতের  ভিত্তিতে বর্তমান কমিটি গঠন করার কারনে সকল নেতাকর্মী তাদের সবটুকু উজার করে কাজ করেছে। তারা বলেন  আর্থিক বিষয়ের ব্যাপারে সবাইকে অবহিত করন, প্রতিদিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের  সাথে মেলা সম্পর্কে  বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করার অংগীকারই তাদের সংগঠনের মূল মন্ত্র বলেন মিরাজ খান জানান । তিনি আরও বলেন সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করার মজাই আলাদা। তিনি সকল বাংলাদেশীদেরকে মেলায় আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ মেলায়   ছিল রকমারী স্টলসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী পণ্যের সমাহার।মেলায় সব ছেয়ে বড় আকর্ষন ছিল রানা কবিরের  রেফেল ড্রয়ের প্রথম পুরুষ্কার ছিল  দুই ভরি ওজনের গলার হার।মেলায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব আটলান্টিক সিটি ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আকবর হোসাইন ,বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব আটলান্টিক সিটির সাধারন সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং নিউজার্সী ষ্টেট কমিটির সভাপতি মোঃ শাহীন, বিএনপি অব নিউজার্সী ষ্টেট সাউথ সভাপতি সৈয়দ মোঃ কাউছার এবং সাধারন সম্পাদক রহমান বাবুল, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব  সাউথজার্সীর প্রাক্তন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাব্বির ভূঁইয়া, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সভাপতি রানা কবির, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব সাউথজার্সীর সাধারন সম্পাদক সাঈদ শহিদ।সাউথজার্সী মেট্রো আওয়ামীলীগ সভাপতি শামসুল ইসলাম শাহজাহান, বিশিষ্ঠ রিয়েল ষ্টেট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা হারুন ভূইয়া,সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতা সাঈদ দোহা, সাংবাদিক ও অনলাইন পত্রিকা এবিএনএ নিউজের সম্পাদক শওকত আলী শিমুল, আটলান্টিক সিটির সিটি হলের কমিউনিটি  এফেয়ার্স কর্মকতা মিল্টন চৌধুরী, সাউথজার্সী মেট্রো আওয়ামীলীগ প্রাক্তন সভাপতি সিরাজ ভূইয়া,   সাউথজার্সী মেট্রো আওয়ামীলীগ প্রাক্তন সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, সাউথজার্সী মেট্রো আওয়ামীলীগ প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহসান হাবিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।