আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের লেটার অব ইনটেন্ট বা সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। সবমিলিয়ে পর্যায়ক্রমে ৮টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে পারবে।
এলওআই পাওয়া ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হলো— নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।
রোববার (২২ অক্টোবর) গভর্নর আব্দুল রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
তিনি জানান, মোট আটটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নীতিগত অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমে দুটিকে এলওআই দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ৬টি পাবে। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে; তারা ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত। তাদের জন্য নতুন নীতিমালা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউং খোলে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এর মধ্যে আছে ব্র্যাক ব্যাংকের এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজি টেন ব্যাংক পিএলসি।
ডিজি টেন জোটে আছে- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
এছাড়া আরও তিন প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাস পর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।
এ বিষয়ে মুখপাত্র জানান, যারা এলওআই পেয়েছে তাদের ৬ মাসের মধ্যে মূলধন সংগ্রহসহ শর্ত পূরণ করে কার্যক্রমে আসতে হবে। তাদের লাইসেন্সবাবদ গুণতে হবে তিন কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার সময় দুই কোটি টাকা ফি দিতে হবে।