1. aoxen@aoxen.net : AOXEN : AOXEN AOXEN
  2. abmnewws5@gmail.com : Akbar Hussain : Akbar Hussain
  3. shahinbangla71@gmail.com : Mohammed Shahin : Mohammed Shahin
  4. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী রাজধানীতে আবারও বাসে আগুন স্থায়ী হলেন হাইকোর্ট বিভাগের ২২ অতিরিক্ত বিচারপতি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আদালত ভবনের বাইরে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ইসলামাবাদ জেলা আদালতের প্রবেশপথের সামনে পার্ক করা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, “আমরা এখনও নিশ্চিত নই, এটি কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। ফরেনসিক দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।” ঘটনাস্থল সাধারণত মামলাকারী, আইনজীবী ও দর্শনার্থীতে ভরপুর থাকে। বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আদালতের বাইরে রক্তাক্ত মাটিতে মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং একটি পুলিশ ভ্যানের পাশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাড়ি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বিস্ফোরণস্থলে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটিতে বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজীবীও রয়েছেন। বিস্ফোরণের পর দ্রুত আদালত ভবন খালি করে দেওয়া হয়, স্থগিত করা হয় দিনের সব কার্যক্রম। ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে বের করে আনা হয় ভেতরে থাকা লোকজনকে। ইসলামাবাদের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি), প্রধান কমিশনার ও ফরেনসিক দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিহত ও আহতদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হামলা। সূত্র: আল জাজিরা যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের কারণে সহস্রাধিক ফ্লাইট বাতিল বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু উত্তেজনা প্রশমনে প্রতিশ্রুতি রুয়ান্ডা-ডিআর কঙ্গোর যুক্তরাজ্যে হঠাৎ অচল হোয়াটসঅ্যাপ, ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমদানির চুক্তি ৩ কোম্পানির

বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ Views

পলাতক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনা খালাস পেলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।’

সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার মক্কেলের খালাস চাই। এই চাওয়াটা তো স্বাভাবিক। এটা প্রত্যেকেই চাইবে।’

শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনি কোনোরকম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি নাই। চেষ্টা করার কোনো বিধানও নাই। উনারাও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগের চেষ্টা এবং কোনো রকমের কোনো সহায়তাও করে নাই। প্রচ্ছন্নভাবেও যদি কোনো সহায়তা করতো সেটা আমার জন্য আরও ভালো হতো, কিন্তু সেটা কেউ কিছু করে নাই। আইনগতভাবে বিধানও নাই।’

‘আমি তো সবসময় আশা করি আমার মক্কেল (শেখ হাসিনা) খালাস পাবে। এটা আমার আশা, এটা আমার প্রত্যাশা। এটাই স্বাভাবিক কথা, আমার তো প্রত্যাশা থাকতেই হবে। এটা হৃদয় থেকেই বলছি। আমি একজনের জন্য এত এত মাস ধরে মামলা করেছি, তা সে যদি খালাস পায় তা আমার চাইতে বেশি খুশি আর কে হবে।’

ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া ভালোভাবে হয়েছে, স্বচ্ছ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজসাক্ষী আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি আমার মক্কেল না। উনার সম্পর্কে আমার কোনো কথা বলাও ঠিক না। কারণ আমি যাদের পক্ষে মামলা লড়ি তাদের পক্ষেই আমার বলা উচিত। যারা আমার আসামি না তার পক্ষে আমি কেন বলবো, এটা বলা ঠিক না, এটা সমীচীন না।’

আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বলেন, ভালোভাবেই বিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি।

আপনার সাবমিশনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে একটা জায়গায় মিলে গেছে। আপনি বলছিলেন যে এইভাবে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ তিনি দেননি, গণমাধ্যমে দেখলাম তিনিও তাই দাবি করেছেন, প্রসিকিউটার বলছে ভিন্ন কথা। তথ্য প্রমাণ কিন্তু তা বলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনারা (প্রসিকিউট) তো ওনাদের কথা বলবেনই। আমি আমার কথা বলবো। এটাই স্বাভাবিক। বিচার বিবেচনা করবে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল।’

এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্ত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।

গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শেখ হাসিনার এ মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। আর ৯ কার্যদিনে চলে প্রসিকিউশন-স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণে সময় দেওয়া হয়।

যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে প্রসিকিউশন। তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় মামলার অন্যতম আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তার খালাস চেয়েছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। হাসিনা-কামালও খালাস পাবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস রাষ্ট্রনিযুক্ত আমির হোসেনের।

এ মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আদালত ভবনের বাইরে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ইসলামাবাদ জেলা আদালতের প্রবেশপথের সামনে পার্ক করা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, “আমরা এখনও নিশ্চিত নই, এটি কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। ফরেনসিক দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।” ঘটনাস্থল সাধারণত মামলাকারী, আইনজীবী ও দর্শনার্থীতে ভরপুর থাকে। বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আদালতের বাইরে রক্তাক্ত মাটিতে মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং একটি পুলিশ ভ্যানের পাশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাড়ি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বিস্ফোরণস্থলে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটিতে বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজীবীও রয়েছেন। বিস্ফোরণের পর দ্রুত আদালত ভবন খালি করে দেওয়া হয়, স্থগিত করা হয় দিনের সব কার্যক্রম। ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে বের করে আনা হয় ভেতরে থাকা লোকজনকে। ইসলামাবাদের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি), প্রধান কমিশনার ও ফরেনসিক দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিহত ও আহতদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হামলা। সূত্র: আল জাজিরা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আদালত ভবনের বাইরে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ইসলামাবাদ জেলা আদালতের প্রবেশপথের সামনে পার্ক করা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, “আমরা এখনও নিশ্চিত নই, এটি কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। ফরেনসিক দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।” ঘটনাস্থল সাধারণত মামলাকারী, আইনজীবী ও দর্শনার্থীতে ভরপুর থাকে। বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আদালতের বাইরে রক্তাক্ত মাটিতে মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং একটি পুলিশ ভ্যানের পাশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাড়ি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বিস্ফোরণস্থলে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটিতে বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজীবীও রয়েছেন। বিস্ফোরণের পর দ্রুত আদালত ভবন খালি করে দেওয়া হয়, স্থগিত করা হয় দিনের সব কার্যক্রম। ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে বের করে আনা হয় ভেতরে থাকা লোকজনকে। ইসলামাবাদের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি), প্রধান কমিশনার ও ফরেনসিক দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিহত ও আহতদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হামলা। সূত্র: আল জাজিরা

© All rights reserved © 2022
Developed By : JM IT SOLUTION