ক্যাবিনেট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু ও তার সরকার। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠকের পর এলিসি প্রাসাদ তার পদত্যাগের ঘোষণা দেয়।
মাত্র ২৬ দিন আগে, ফ্রাঁসোয়া বায়রু সরকারের পতনের পর লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন ঘোষিত মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রায় সব দলের নেতারা অভিযোগ করেন, লেকর্নুর মন্ত্রিসভা পূর্ববর্তী বায়রু সরকারের প্রায় হুবহু অনুলিপি, কোনো নতুনত্ব বা রাজনৈতিক ভারসাম্য নেই। অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকিও দেয় তারা।
এই অচলাবস্থার মধ্যেই লেকর্নু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে এটি পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের ঘটনা।
বিরোধী দলগুলো এখন আগাম নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে। কয়েকটি দল প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর পদত্যাগেরও আহ্বান জানায়। তবে ম্যাক্রোঁ পূর্বে স্পষ্ট করেছেন, ২০২৭ সালের আগে তিনি কোনোভাবেই পদত্যাগ করবেন না।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের আগাম সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ফরাসি রাজনীতি চরম অস্থিতিশীলতায় ভুগছে। সেই নির্বাচনে কোনো দলই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংসদ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সরকারের জন্য আইন ও বাজেট পাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী লেকর্নু এই কঠিন রাজনৈতিক পরিবেশে মাত্র কয়েক সপ্তাহ টিকতে পারলেন।